ফজলুর রহমান নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন: চিফ প্রসিকিউটর
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 03-12-2025
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

তলবের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান। এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

একটি টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে করা একটি মন্তব্যের জন্য ফজলুর রহমানকে তলব করা হয়েছিল। তাঁকে ৮ ডিসেম্বর একাডেমিক, বার কাউন্সিল সনদসহ আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল।

 

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ফজলুর রহমান আদালতের কাছে ‘আনকন্ডিশনাল অ্যাপোলজি’ (নিঃশর্ত ক্ষমা) প্রার্থনা করেছেন। তিনি একটা পিটিশন জমা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যা কিছু তিনি বলেছেন, সেটা ভুলে বলেছেন এবং তিনি আদালতের ‘মার্সি’ চান।

ক্ষমা চেয়ে করা এই আবেদনের বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। ৮ ডিসেম্বর শুনানির নির্ধারিত দিনে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তাজুল।

ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ফজলুর রহমানের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগ হয়ে এখন বিএনপিতে আছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

 

সম্প্রতি এক টিভি টক শোতে তাঁর করা একটি মন্তব্য ট্রাইব্যুনালের সামনে তুলে ধরে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে প্রসিকিউশন। এরপর গত ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ফজলুর রহমানকে তাঁর একাডেমিক ও বার কাউন্সিল সনদ নিয়ে সশরীর হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীমের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘টক শো’তে ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি এই ট্রাইব্যুনাল মানেন না। কারণ, এই ট্রাইব্যুনাল তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য। এই ট্রাইব্যুনালে অন্য কোনো বিচার হতে পারে না।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এখন চলছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এই ট্রাইব্যুনাল সচল করে।


 

শেয়ার করুন