একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর যেসব দল খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করেছে, তাদের দেওয়া হবে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের একটি অংশ। আজ এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিপিএল নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রতি আসরেই দেখা যায়, বিপিএল শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। এবার বিপিএল চলাকালে পারিশ্রমিক নিয়ে সবচেয়ে বেশি জটিলতায় পড়েছিল দুর্বার রাজশাহী। এ ছাড়া আরও দু–একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়েও একই প্রশ্ন ওঠে। খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জনের মতো ঘটনাও ঘটে। একটি ম্যাচে বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়াই খেলতে নামতে হয়েছিল দুর্বার রাজশাহীকে।
বিপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার প্রায় মাস তিনেক পরও পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ফলে আজ সভায়ও আলোচনার মূল বিষয় ছিল ১১তম বিপিএলে খেলা দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের বকেয়া অর্থ এবং রাজস্ব বণ্টনের বিষয়।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ
এবার বিপিএলে অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জমা দেওয়া হিসাবপত্র ও অর্থ প্রদানের নথি খতিয়ে দেখার পর গভর্নিং কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেসব দল খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধে নিয়ম মেনেছে, তাদের টিকিট বিক্রির আয়ের একটি অংশ দেওয়া হবে। এই প্রথমবারের মতো বিপিএলের টিকিট বিক্রির টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে বণ্টন করা হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগেই এই টাকা দেওয়া হবে। তবে খেলোয়াড়েরা তাঁদের পারিশ্রমিক পেয়েছেন বলে প্রমাণ দেওয়ার পরই দলগুলো এই টাকা পাবে।
এর আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, প্রায় সোয়া ১২ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে বিপিএলের গত আসরে। যেখান থেকে প্লে-অফে ওঠা চারটি দল পাবে ৫৫ লাখ টাকা করে, বাকি তিনটি দল ৪৫ লাখ টাকা করে।